University degree at the age of 9
শুনতে বিস্ময়কর মনে হলেও, মাত্র ৯ বছর বয়সেই বেলজিয়ান এক বালক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিতে চলেছে।
বলা হচ্ছে, আসছে ডিসেম্বর মাসে সে তার ডিগ্রি অর্জন করবে এবং সেরকম হলে বিশ্বে সে-ই হবে সবচেয়ে কম বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী কোন ব্যক্তি।
লরেন সিমন নামের এই বালকটি বিবিসিকে বলেছে, তার বয়স যখন মাত্র ছয় তখনই সে হাই স্কুলে পড়াশোনা শুরু করে।
সে আশা করছে যে আগামী মাসে সে হল্যান্ডের আইন্ডহফেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়াশোনা শেষ করতে পারবে।
তার বয়স যখন আট তখন থেকে সে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে শুরু করে।
লরেন বলেছে, তার স্বপ্ন কৃত্রিম অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তৈরি করা এবং এজন্যে সে এখন মেডিসিনে পড়াশোনা করতে চায়। বিশেষ করে সে কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড তৈরি করতে চায়।
স্কুল লরেনের কাছে খুব একটা আনন্দের জায়গা ছিল না। সে বলছে, "স্কুল হচ্ছে একঘেয়ে জায়গা।"
তবে সে বন্ধুদের সাথে কম্পিউটার গেম খেলতে পছন্দ করে। সে নিজেকে খুবই অলস প্রকৃতির বলেও দাবি করেছে।
সাংবাদিকদের লরেন জানিয়েছে, সে দাবা খেলে না এবং কোন বাদ্যযন্ত্রও বাজাতে পারে না। কিন্তু সে ভিডিওতে 'ফোর্টনাইট' ও 'মাইনক্রফ্ট' গেম খেলতে ভালোবাসে, এবং নেটফ্লিক্সেও ছবি দেখে।লরেনের স্মৃতি-শক্তি খুবই প্রখর। সবকিছু সে ছবির মতো করে মনে রাখতে পারে। তার আই কিউ ১৪৫ যা আইনস্টাইন ও স্টিফেন হকিং-এর আই কিউর কাছাকাছি।
লরেনের পিতা আলেকজান্ডার সিমন একজন দাঁতের ডাক্তার। তিনি বলেন, তারা তার সন্তানের জন্যে অতিরিক্ত কিছু করেন নি।
"আর সবার মতোই সে স্কুলে যেত। তার শিক্ষকরা বলতেন যে লরেন খুব মেধাবী। তারা তাকে অতিরিক্ত কাজ দিতেন। বাড়তি কিছু পরীক্ষাও নিতেন তার।"
তিনি বলেন, কীভাবে তার সন্তান এতো দ্রুত পড়াশোনা করেছে সেবিষয়ে তাদের কাছে কোন ব্যাখ্যা নেই।
লরেনের শিক্ষকরা বলছেন, সবকিছু সে খুব দ্রুত শিখতে পারে। এরকম শিক্ষার্থী তারা আগে কখনো পাননি। এজন্যে তারা তাকে ডাকেন 'জিনিয়াস' হিসেবে।
তবে লরেন কিন্তু অন্যান্য অসাধারণ প্রতিভাধর ব্যক্তিদের মতো নয়। সোশাল মিডিয়াতেও সময় কাটায় সে। গত শুক্রবার পর্যন্ত ইন্সটাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা ছিল ১৩,০০০।
বেলজিয়ামের ওসটেনেড শহরে লরেনের জন্ম। সেখানেই সে তার দাদা দাদীর কাছে বড় হয়েছে। তার বাবা মা তখন হল্যান্ডে কাজ করতেন।
লরেনের বাবা জানান, চার বছর বয়সে সে প্রাইমারি স্কুল শুরু করেছিল আর যখন সে হাই স্কুলে যায় তখন তার বয়স ছিল ছয়।
সেখানে প্রায় ছয় বছরের লেখাপড়া সে মাত্র দেড় বছরেই শেষ করে ফেলেছে।
এখন সে তার বাবা ও মায়ের সাথে আমস্টার্ডামে বসবাস করে।
wow,nice
ReplyDelete